জানি না কি অদম্য অহংকারে;
খুব সুন্দর সকালে গাছের ডালে ঝুলে পড়ল মেয়ে,
জানি না কোন সে নির্বাচন; সে কোন অবাক নির্বাণ;
অথচ দেখো,
কত নাম না জানা পাখী ডেকে উঠেছিল কলরবে,
পরবাসে সেদিনের সকালে ফ্লাইট ধরেছিল কিছু সুখে থাকার ইচ্ছা,
আমি অবাক বিস্ময়ে দেখছিলাম -
মেয়েটির হাতের নেলপলিস,
নিপাট শাড়ির কুঁচি, কপালের বেগুনি টিপ, স্থির কানের ঝুমকো,
দেখছিলাম কিছু উল্লসিত শকুনের ওড়াউড়ি; কিছু পিঁপড়েরাও দারুন ক্ষুধার্ত,
মানে সবাই যখন বেশ সুখেই, তখন মেয়েটাই বা দলছাড়া কেন!
বন্ধ ঘরের সব দরজা জানলায় প্রবল ঝনঝনানির শব্দে;
হুঁশ ফিরতে বাধ্য; বাধ্য আমি ধর্মাশোক হতে।
কাব্যিক বিবেচনাঃ মরতে হলে সুখেই মরেছে মেয়েটা;
বেঁচে থাকতে যে সুখের পাখীর বাসা চাইছিল বারংবার।
সকালটা এভাবেই চলে গেল কাউকে কিছু না জানান দিয়ে;
দেখে দেখে আশ মেটে না দমকা বাতাসের খুনশুটি।
আত্মহত্যার কৌশল শুধু মানুষের গোপন মমির গুপ্তকথা।