তবে তাই হোক,
এক এক পেয়ালা চোখের জল রাখো সামনের চাতালে,
সময়টা যখন আলো থমকানোর, ঝিঁঝিঁর ঝিনুকে মুক্তো অপার জমেছে,
সব আলিঙ্গন, সব সংঘবদ্ধতা, সব পরিত্যক্ত ইঙ্গিতঃ সবটাই বর্জ্য;
এনে রাখো আমার সামনে;
আমি দক্ষ ডুবুরি; অব্যর্থ নিশানায় তুলে আনব কুমারী স্ফুলিঙ্গ।


তবে তাই হোক,
কুহকের মত জাল বোনা বাঁশিওয়ালার পরিচ্ছদে পাবে আমায়,
তোমাদের হাতের পদ্মে চুম্বন করব; যেমন অগর্ভজাত শিশুর ঠোঁটে;
বশিষ্ঠ-হৃদয় হয়ত তখনও মায়াবী রাত-ছানি দিয়ে বলবে;
‘সকাল হয়েছে, ওরে উঠোনটা গোবর দিয়ে নিকিয়ে দে’;
অর্থাৎ নিত্যনৈমিত্তিক কাজে জড়িয়ে মুখোশের আড়ালে মুখ চাপার আকাঙ্খা।


তবে তাই হোক,
তুমি গরুর দুধ, পূজোর ফুল, সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ সংগ্রহে লিপ্ত থাকো।
কাল্পনিক জলাধারে রঙিন মাছেরা উৎস খোঁজে; তাতে ক্ষুধা মেটে না।
আমি আকাশে দেখাতে চেয়েছিলাম কোন-জীবনেও-না-ছুঁতে-পারা চাঁদ,
জেনে রাখো আমি ব্যাভিচারি নই, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেব না;
তাই ভাত-পাতা-সংসার, হাত পেতে দিতে পারছি না তোমায়।


তবে তাই হোক,
আমি দিক হারিয়ে ফেললে এজমালি জঙ্গলে;
তুমি অলৌকিক পারিজাত হাতে এসে বলবে – ‘এইদিকে’
আমি শয্যায় রমনরত দম্পতির বিহ্বলতা ক্ষয়ে যেতে দেখেছি প্রচুর; তাই -
অনেকদিনের খোলস ছেড়ে হব অপাপবিদ্ধ অর্জুন; ঠিক ঊষালগ্নে; আর -
অঝোর বৃষ্টিপাতের পর তোমার করতলে তুলে দেব – অনন্তসোহাগ।