পদ্মপাতায় জলের হিসেব, রোদপোহানো রাত রেখেছি গুনে,
কবিতা কি ফলবে প্রানে বিন্দু বিন্দু এই ভরা ফাল্গুনে,
বদ্যিবাড়ির বেলগাছেতে মামদোভুতে গর্ভবতী হলে –
পাউরুটি আর ঝোলাগুড়ে জাতবেজাতের প্রশ্নখানি তুলে –
শিকেয় রেখো পদ্য তোমার, মরচে লেগে কারুকাযময়,
ভালোবাসার আরশিনগর, আর এগোলেই তিনদুগুনে ছয়!
হারায় ছাতা, কবির কলম, কালচে চুমু – হায়রে বৃন্দাবন
হেঁসেলঘরে লুকোচুরি, লঙ্কা-ফোঁড়ন, উদ্ভাসিত মন।
মাঠের পরে হেঁড়ে গলায়;
      বাউল চেঁচায় খুব অবেলায়;
             কান চেপে লেখ দু এক কলি পদ্য,
আত্মাটা তোর হয় বেদখল,
      সইবে ক’দিন কাব্য-ধকল,
             আগুন-পুড়ে বেঁচে আছিস এটাই অনবদ্য!