শেষ অবধি সকাল হয়েই গেলো,
এতক্ষন তিস্তাপাড় উপুড় হয়ে শুয়েছিল,
চা-বাগানের এক একটা কুঁড়ি-পাতা ঝিমিয়ে ছিল,  
বানারহাটের দিকে শেষ বাসটার চাকায় উড়েছিল দিনের শেষ ধুলো,
শেডট্রিগুলো মেলেছিল নির্বাক কথামালা,
ঝুমরি বস্তির সবকটা ঘর,
চাঁদের পাহাড় ঝাঁট দেওয়া সব ক’টা নরম নারী,
কাল শেষ রাতে হাড়িয়া সাক্ষী ছিল যে মাতনের।


আজ তারা সবাই জেগে উঠছে,
সবাই ফিরে আসতে চাইছে কমনীয় স্বাভাবিক ছন্দে,
আমি কিছুতেই আটকাতে পারছি না,
দু-হাত, সমগ্র শরীর বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিল।
ওরা জানে না,
সব কিছু স্বাভাবিক হলে... কি সুন্দর ভাবে ভোর হয়ে যাবে,
আর তুমিও সেই ভোরের জানলাপথে ধরে নেবে ঘরে ফেরার ট্রেন।