লেকের পশ্চিমদিকে আজকাল প্রায় রোজই আসি,
আসলে বয়স হচ্ছে তো,
ডাক্তার বলে দিয়েছে – উৎফুল্ল থাকতে বিশুদ্ধ বাতাস সেবন নিতান্ত প্রয়োজন।
বিশুদ্ধ বাতাসে মন ভালো হয় ইত্যাদি;
তবে কেন চরাচরব্যাপি বিশুদ্ধ বাতাস তোমায় অবসন্ন করে দিল?
আমাকেও অবসন্ন করে আজকাল।


যাই হোক,
লেকের পশ্চিমদিকে বেঞ্চে বসাই সার; অবসন্নতা কাটে না,
সবই প্রায় বার্ধক্যের ওপারে পা রাখা মানুষ-মানুষী,
ওরা গল্প করে না,
ওরা কৃষ্ণচুড়ার লালাভ প্রপাত দেখে না,
ওরা চিল হয়ে ফের মাটিকে রক্তাক্ত করার পরিকল্পনা করে না।
বিরক্তচিত্তে বিশুদ্ধ বাতাসের নিকুচি করে উঠে পড়তে যাচ্ছি,
এক জোড়া গাংচিল দেখলাম; প্রকৃত মানুষমানুষী,
ওরা একে অন্যকে চুম্বন করে,
ওরা শেষ বিকেলে লেকের জলে পা ডুবিয়ে দেয়,
ওদের অঢেল চুল পশ্চিমা বাতাসকে এলোমেলো করে দেয়,
ওরা তাকায়; দৃষ্টি উড়ে যায় মহেঞ্জদড়োতে।


আমি উৎফুল্ল মুখে বাড়ির পথ ধরি; কাল আবার ফিরব।