বন্ধু, তোকে দেখিনি আজ অনেকদিনই,
রাজনগরের মাটির বাড়ি, কাবাব চিনি।
ভিতরপানে স্কুলের গণ্ডী, চু কিৎকিৎ
মন-পাহাড়ে গড়াচ্ছে কি ঋন-শোণিত?
গুলডুমুরের ঘাটে যখন শ্যাওলা জমে,
স্কুলের মাঠের উত্তেজনা খুব চরমে।
ডান্ডাগুলি, আমের বোলে মুগ্ধ ছুটি,
কুড়াই যদি ইলশেগুড়ি একটি দুটি।
মন কেমনের রাত ফুরোলে স্মৃতির ভোর,
শেষ চিঠি আজ ভরদুপুরে পেলাম তোর।    
ঘুপচিমতো রান্নাঘরে আজ কি হয়?
আজও কি তোর দেখা করার নেই সময়?
বকুলতলায় বলেছিলি – ‘চোখটি বোজ’
বন্ধ চোখে কেমনে আজ লাগাই খোঁজ!
কোন বাদারে, কোন আঘাটায় পাই যে তোকে,
পাঁচিল আজও পড়ছে ভেঙে রুদ্ধশোকে।
চোখের জলের ফোঁটায় তোকে পাব নাকি?
সন্ধানে তোর নিয়োগ করি শ্বেতজোনাকি।
বইখাতা আর স্কুলের ড্রেসে গন্ধ তোরই,
শেষবিকেলের বিষণ্ণতায় গঙ্গাফড়িং -
জানি এসব তুচ্ছ, কি সব পাখীর বাসা!
এক চিলতে হাসির তলে খুব নিরাশা।
আজ যখনই বৃষ্টি নেমে আঁধার করে -  
তোকেই নীরব চোখের জলে মনে পরে।