সেই সব শহরের সেই সব রমণীরা কই,
যারা যোদ্ধাদের জন্ম দেবার আগে আনন্দভোগ করে।
তাদের ঈষৎ স্ফীত নিতম্ব, পাথুরে বক্ষ আরো দুধ উৎপন্ন করে যায়,
তাদের শিরে কি মুকুট ছিল?
তাদের কি ছিল রত্নখচিত অঙ্গবস্ত্র?
শকুন্তলা আর বিশাখা যে পাতায় আশ্রয় নেয় ইতিহাসে,
সেই শতজীর্ণ পাতার কোন এক স্থানে; হায়! স্থান অকুলান!


সেই সব যোদ্ধাদের বীরগাঁথা প্রোথিত কর –
এমনই আদেশ দিয়েছিল মায়াসভ্যতার পৃষ্ঠপোষকেরা,
আমি অনেক সভ্যতা খুঁড়ে কামুক রমণী পেয়েছি,
পেয়েছি নগ্ন সুন্দরীর দেহ বল্লরি,
আর শিশুদের দেখিয়েছি মহেঞ্জোদড়োতে পাওয়া নগ্নরমণীর ছবি; অপুর্ব!


তবে সেই সব রমণী কোথায়,
যারা দ্রৌপদীর রতিবাসরের ঠিক বাইরেই অবস্থান করেছিল,
পার্শ্বসাথী কিছু খোজা দাস মাত্র। কুশলী হাত খুঁজেছিল পঞ্চস্বামী।  
ঈষৎ উষ্ণতা; সব বালিতে মুখ গুঁজে ঘ্রান নেবার প্রচেষ্টা!  


ইতিহাস তো আমিও খুঁড়েছি, মূর্খ রমণীর মতো।
অনেক খুঁজেছি, পাই নি তো।