গোটা শহরের সব ক্লান্তি, সব ধুলিস্যাৎ, আমার আমার,
উষ্ণ রাস্তার সব চন্দনী, এ রিক্সাসভ্যতা, বিবশ আকার।
সব লুঠে নিতে ইচ্ছে জাগে, যদিও সামনে বাধার বিন্ধ্যাচল;
এ কোন চিকিৎসা, সব গলির সব ইচ্ছার স্খলিত বল্কল।
ঠোঁটপালিশে চাপা দেওয়া, সব কিছুতেই রূপোলী প্রলেপ;
যেখানে কবিতা ক্ষুদ্র, কবিতার শরীরী চেতনা আরো সংক্ষেপ।
আমি সব ক্লান্তি উজাড় করে দেব উন্মুক্ত ডানার আস্তিনে,
যে উত্তাপ অবশিষ্ট ধুলোকনায়, নাম ডেকে নিতে হবে চিনে।
আমি গলন্ত পিচের নিচে লুকোনো গোলাপ গন্ধ অক্ষরে পাই,
এ শহর রাখে না কোন স্মৃতি। ‘ভালো আছ?; জানতে চাই।
শহর বিশ্রীভাবে হাসে, হলুদ দাঁতের সাক্ষী গরল পানীয় -
স্যাকারিন মিশিয়ে দফায় দফায় চা, চেয়ে চিন্তে নিও।
সে লোভী, সে হিংসুটে, সে নৃশংস, তার বড্ড জেদ,
এ বিবশ রিক্সাসভ্যতায় কবরের ধুলো জমে বাধ্য প্যারেড।