আমি বারণ শুনি না, আমি ‘ওম’ বলি না মুখ থেকে,
ঢেউয়ের শব্দ শুনি না, আমি দুঃখ গুনি না সুখ ঢেকে।
শুধু যে আশ্চর্য গম্বুজ, পশ্চিম দিগন্তে তুলেছে মাথা,
আমার ব্যথার উপশমে জানি শুধু গোধূলির অন্যথা।
জানি তুমি ভালোবাসছ আমাকে অভ্যেসে। তাই নাকি?
আমি উল্লাস করি। রফাসুত্রে আবদ্ধ মৃত জোনাকি!
তবুও চাঁদের আলোয় স্মৃতিপথ জাগে কার গুরুমন্ত্রে?
আমি তাই বারণ শুনিনা, মুখ শুঁকে থাকি না গনতন্ত্রে।
‘দু পাত্র প্রেম এনো রাতে’ – বলে গেল বিবাহিত কেউ,
ইচ্ছে আজ শরীর ভেজাই, মুঠো ভরে এনো জাদুঢেউ।
ভোরের দরজা খুলে দেখি, রোদ-কফি হাতে তুমি দাঁড়িয়ে,
এককপি ইতিহাস পকেটে তোমার; সেই আশ্রয় ছাড়িয়ে;
সাদা ক্যানভাসে লিখে দিলে – ‘দুর হও লাশকাটা ঘর -
সামান্য চাওয়াতেও কাঁদো তিরস্কৃত প্রেমিক প্রবর’।
সেই ক্যানভাস সন্ধ্যের কাছে আজ শ্রাবণ-আদরে গলবে;
চোখে চোখ নয় তবু শেষবেলাতেই কফিনটাই কথা বলবে।