লিখেছি অনেক, প্রচুর প্রচুর বললেই হয়,
সবগুলো ফিরে গেছে ঝাউবনে ঘেরা ডাকঘর থেকে,
ডাকপিয়নও অবসর নিয়েছেন, সে এখন ঝিমোয় ঝুমুর গানের ফাঁকে;
শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণ আঁকড়ে নীরবে নামিয়ে রাখবে পাপের ঝুলি,
কারন সে অনেক চিঠি, অনেক ক্লান্ত দুপুর পৌঁছে দেয় নি তোমার কাছে;
ইচ্ছাকৃত কি!
সেও কি তোমাকে ভালোবেসেছিল? তোমাকেই?
এখন গর্ভবতী বাইসনের দল মাঠে নামে নতুন খড়ের সন্ধানে।
অনেক দুর থেকে দলবিচ্ছিন্ন শৃগালের ডাক ভেসে আসে;
আমি হাতের সাহায্যে শেষ চিঠি লেখার অভ্যেস ছাড়িনি,
ডাকপিয়নটাকে একবার পেলে দেখে নিতাম, হাতের সুখও বাদ দিতাম না।
ও শ্রীকৃষ্ণ, তুমি আবার যেন লোভে পড়ে তুলে নিও না;
ঝাউবনে ঘেরা ডাকঘরের শেষ পিয়নের না-পাঠানো ঝুলি,
ওতে অনেক প্রেয়সীর চিঠি আছে, হাঁকড়ে দেখতে পারো,
পেলেও পেতে পারো বৃদ্ধ বাপের পাঠানো মৃতপ্রায় সন্তানকে; মানিঅর্ডার।
অথচ,
সেভাবে ভাবলে তুমিও তো জানতে চাইলে না,
আমি বালখিল্য অভ্যেসে হলেও তোমায় চিঠি লিখছি না কেন?