কথাই তো বুকের ভেতরের পুকুর,
শব্দই তো সেই পুকুরের ভাষা,
পুকুরের নিচে যে আদিম শেকল, তা খুঁজে পাওয়া যায়, তবে;
সে কি যে সে ডুবুরীর কাজ?
সে অনেক শপথবাক্য, সে অনেক শাক্তসৈন্যের দলবদল,
যেন অনেক শতাব্দীর আগের কোন পুকুরঘাটে, আঘাটায়,
দাঁড়িয়ে থাকা বন্দুক হাতে ভূত; পার হয়ে আসে আরব্যরজনীপথ।


ভোরের পাঁচিল ডিঙিয়ে এখানে অনেক পাখী আসে, গান আসে স্বরচিত,
সেই পুকুরে ঘর বাঁচে, বারান্দা বাঁচে আর প্রেম বাঁচায়।  
ঘর পেরিয়ে গ্রিল এড়িয়ে বারান্দার শেষে শ্যাওলার আদরে ক’ধাপ সিঁড়ি,
তারপর এক লাফে নিশ্চিন্ত হও বুকে।


হয়ত এক মহাডুবে সাক্ষাৎ করা যাবে সেই আদিম মৎস্যের সাথে,
যার গলায় আটকে এখনো রাজকুমারীর নাকের নোলক,
রূপকথা নয়, এ সবই অনেক যত্নে রাখা;
আমার বুকের পুকুরে, যার পাড়ে দাঁড়ায় হ্যামলীনের রাজকুমার।
দেখতে হলে একদম ভোররাত্র শ্রেয়ঃ।