কলকল রবে বয়ে চলে যায়, নদী আমার নদী ।
বক্ষে তব বিলীন হতেম, সঙ্গে নাও যদি ।।
নীলাঞ্চলের নীলতর পাড়, তীরে বাস্পলেখা ।  
অন্ধকারের আচ্ছন্নতায়, সবকিছু অ-দেখা ।।
তীরে ঝাউবন, শিশুবীথিকার, মর্মর ধ্বনী শুনি ।
উদ্বাল, বিহ্বল, যেন বা নিগুঢ় বনানী ।।
ফাগুনেরই দখিন বায়ু, মাতাল হয়ে আসে ।
শীতের মধুর শীতল বায়ু, নদীর পটে ভাসে ।।
শ্রাবণমাসের মুষলধারা, পাগল করে তাকে ।
শিউলীঝরা হেমন্ত যায়, নদীর বাঁকে বাঁকে ।।
বৈশাখী ঐ আসন্ন ঝড়, দেখে উদাস দৃস্টি ।
ঘোর লেগে যায় আঁখিপাতে, (যেন) সৃষ্টিছাড়ার সৃষ্টি ।।
উন্মাদিনী নদী আমার, তোমার দরাজ বক্ষে ।
কক্ষচ্যুত নিহারীকা, আবার এলাম কক্ষে ।।