পুরনো যা কিছু আছে
ঝেড়ে ফেলে ……………
গড়ে  তোলো রক্তাক্ত মিছিল
তবু তার জন্য
যুদ্ধে যাবো বলে …………
খড়ির আগুনে তুষোভাত বসাবার দরকার নেই।


পেছনের পটে আঁকা মুখগুলো মুছে ফেলে ………
সমুখের দৃপ্তু বারুদে আগুন জ্বালো
খুলে ফেলো অস্পস্ট চেতনার …………
বরফের জল ঝরা দস্তানাগুলো।
শহরের পথগুলো আজ বড়ো নির্জন, বন্য-ববর
সভ্যতার কার্নিশে পা ফেলা সমাজকে
ভেঙ্গে ফেলে,
মেঠোপথে গড়ে তোলো আজ গণতন্ত্রের ইমারত।


বেলেঘাটা, আহিরীটোলা, শোভাবাজার, কাঁসারিপাড়া
অথবা গূলু ওশ্তাগর লেনের
একপেশে হলদে বস্তিটার এক পাল
উন্মত্ত উলংগ শিশুর দলে
কে কবে শিখেছিলো গণতন্ত্র, ইতিহাস ?
রাস্ট্রযন্ত্রের চাপে চাপা পড়া………..
কানা অজিত, হারাণ মণ্ডল অথবা
হাবুল, স্বপন, গণেশ-এর দল -----
দুবেলা রুটির দেখা পেতে ওদের গণতন্ত্র শিখতে হয়নি।


শরৎ-এর ঝরে যাওয়া বিষন্ন বিকেলগুলো-তে
নিমতলা শ্মশান-এর দিক থেকে এগিয়ে আসা
মিছিলের সামনে দেখেছি
শতশত শীর্ন অভূক্ত মুখের স্বপ্ন
মনুমেন্ট হয়ে গেলেও শহীদমিনার
ওরা কিচ্ছু না জেনে,
ঘুমিয়ে পড়েছিলো নিশ্চিন্তে একরাত
ঘোর কেটে গেলে দেখি চেয়ে
মিছিল এগিয়ে গেছে
পরে আছে শুকনো আধফোঁটা নিমফুল
আর আমি।