নিঝুম দুঃস্বপ্নে কঙ্কালের প্রতিচ্ছবি প্রত্যক্ষ করে নগ্ন প্রভাতে -
শিউরে উঠেছি হিমেল রাতে -
ভুলতে পরিনি বাসী হাড়ের মতো ছবি অভুক্ত হাসিটার
ক্ষমা কোরো, তাতে মেতে উঠতে পারিনি শক্ত ভিটার --
ভিতরে ডুকরে উঠেছে অবুঝ মনটা,
কলমে কলমে কঙ্কালের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার টানটায় --
প্রাকমুহূর্তে থেমে গিয়ে হাপিত্যেস ভাবি :
কবি হিসেবে আমারও কিছু নির্বিষ অবদান আছে কিনা
প্রাণপণে ভাববার চেস্টা করি,
মৌমাছি ফিরে গ্যাছে, তাই অজান্তে কখন ঝিমিয়ে আসে কলম।
ভিতরের হাইড্রোজেন বোমাটা করে থমথম,
চারপাকে বাঁধা নেকটাই-এর ফাঁসে, হাহা হাসির মানুষের --
মাঝে ফাঁক খুজঁতে খুজঁতে ফের
চকিতে মনে হয়েছিল, এ কঙ্কাল তো আজকের সভ্যতা।
হাত, পা, বুক আর মাথাওলা মানুষগুলো যেন জঙ্গলের অধিবাসী,
বুক দিয়ে ঘষটে ঘষটে এগিয়ে যায
রক্তমাংসের উপর চাপা পড়া
কালো পিচের চাদরের উপর দিয়ে। তায়,
হঠাৎ কখন দুচারটে হরিণীর ছায়া --  যখন তখন --
বেমালুম উবে যায় -- দুফোঁটা চোখের জল বেশ কিছুক্ষন
রাজপথে লেপটে থাকে। -- সন্ধে নেমে এলে শুধু --
ডিমপল-স্কচের বোতল হাতে স্মিত হাস্যে বন্য
বর্বর কিছু গোড়িলা হেটে রাস্তা পেরিয়ে যায় -- বোবা অরন্য
অলিখিত কারফিউ মেনে চলে।


প্রবল আতঙ্কে চেয়ে দেখি নির্লিপ্ত সুর্যের পাছে পাছে
সভ্যতায় সন্ধে নেমে আসছে -- কাছে – আরো কাছে --
কতগুলো উদ্বিগ্ন মুখ, মুস্টিমেয়, চাওয়াচাওয়ি করে, ভেবে মরে, --
সে চোখের তারায় দেখেছি, ব্যর্থ ব্যস্ততার পাশে,
বিগত সুর্যের ক্ষয়াটে জলছবি, আরও ক্ষয়ে আসে।
গোড়িলাগুলো চাপা উল্লাসে ফেটে পড়ে, আরো, পরপর,
বিষাক্ত সন্ধ্যায়,
আরো কিছু কঙ্কাল বাসী হাড়ের মতো হেসে যায়।
আরো আরও কিছু  --- তারপর?


জানালাটা খুলে দেই, বধ্য বাতাসে চাপা পড়ে যেতে যেতে,
ভাবি, আশা রাখি কখনো, প্রবলোৎসাহে মেতে,
অসমাপ্ত কঙ্কালের ছবিটা বাইরের হলকা বাতাসে --
ঝুরে ঝুরে যাবে
নতুন মানুষ জন্ম নেবে গুটি গুটি পায়ে --
আরও কিছু নতুন --
বিবশ চিন্তাগুলো ঝাঁকবেধে ডাইরিতে ফসিল হয়ে যায়।