দাঁড়ায়ে পথের পাশে       সামান্য ভিক্ষা আশে
             দয়াল নাম্নী ভিক্ষুক ।
ভীষন দারিদ্র তারে        করেছে হাড্ডিসারে –
             পরিণত, করেছে বলীভুক ।।
বস্ত্র পায়নি শীতে            বতর্মান ও অতীতে
              পায়নি খাদ্য প্রয়োজনে ।
সুখের চাদর সরিয়ে          ছিঁড়ে, খুঁড়ে ও মাড়িয়ে
               দুঃখ করেছে মিতালী তারি সনে ।।
দাঁড়িয়ে অন্ধচোখে           রোগে, দুঃখে ও শোকে
               ভিক্ষা মাগিছে কাতরে ।
নিয়তির দুবির্পাকে            শেষ বলিরেখা আঁকে
               দুঃখজীর্ন শুস্ক অধরে ।।
অভাবের তাড়নায়              মলিন বস্ত্রগায়ে
               দয়াল তবুও চায় ফেলি –
দুঃখ চিরতরে               সুখের স্বপ্নে ঘুরে
               সুয্যি যায় পশ্চিমে হেলি ।।
তুলিয়া স্বপ্নের পাল          ভাবিছে ভিখ-দয়াল
               ছিল তার পুত্রপরিবার ।
মমতার বন্ধন-পাকে        পেঁচার কর্কশ ডাকে
               চিন্তায় ছেদ পরে তার ।।
পরে দীঘর্শ্বাস                হীমমাখা উত্তুরে
                  বাতাস বয়ে গেল শ্লথ –
-ভাবে হৃদয়পরে।            যস্টি ধরিয়া করে
                দয়াল ধরিল গৃহপথ ।।
সারাদিনমান-শেষে            নিশিথ ঘনায়ে আসে
                  ভিক্ষা আজি নাহি মেলে কিছু ।
ফেরে সে শুন্যকরে              রাত্রি আগমন তরে
               দিন যায় বলাকার পিছু ।।
অভিশপ্ত জীবন লয়ে          যারা গেছে দুঃখ সয়ে
               বহু দয়ালের সাথে ।
জাতি, ধর্ম নিবির্শেষে      পায়ে পায়ে পাশে পাশে
                চলতে হবে প্রগতির পথে ।।