বসিয়া জানালাপাশে তাকায়ে নীলাকাশে
মন যায় উড়ে ।
বলাকার পিছেপিছে সত্যি বা নয় মিছে
পৃথ্বী চলে আসি ঘুড়ে ।।
লাঙল লইয়া কাঁধে গাভিটি লইয়া সাথে
কৃষক চলেছে মাঠে ।
অজানা রহস্যমনে শিশুগন গৃহকোনে
মন দেয় নিজ নিজ পাঠে ।।
প্রভাতি আহ্নিকান্তে অদুরে গ্রামের প্রান্তে
পান্থজন চলিয়াছে হাটে ।
দুঃস্থ অন্ধসব কাতরে করিছে রব
ভিক্ষা-আশে গ্রাম-বাটে ।।
নীলাকাশ সরোবরে মেঘ ঘনঘটা তরে
সুয্যিমামা উঁকি দিতে নারে ।
চাতক চাহিয়া বারি নীলাকাশে দেয় পাড়ি
দুরদিকচক্রবালপারে ।।
পবন উন্মুক্তমনে করিছে সাগরসনে ।
অভিন্ন মিতালী ।
গোলাপ হইলে ফুল না করিয়া কোনও ভুল
ভ্রমর হইবে তারি মালী ।।
পদ্মশালুক ভরা হইয়া স্বনির্ভরা
জলায় ডাকিছে ভেকদল ।।
অসীম ক্লান্তিহারা মনকে দিয়ে নাড়া
সারস ডাকিছে পুনঃ পুনঃ ।
শালিক ঝারিয়া পাখা উড়িল ছাড়িয়া শাখা
কোকিল সঘনে ঘন ঘন ।।
ফিরিয়া আসিল ঘুরি প্রাকৃতিক পট ছাড়ি
অব্যক্ত অশান্ত মন ।
(যেন) দিকভ্রান্ত পথিক ছাড়িল নৈসগির্ক
লুপ্ত সুপ্ত ধন ।।