ঝিঁঝিঁ পোকার অক্লান্ত ডাক
উলুখড়ের বনে
ঝড় তোলে।
রক্তের ধারা গড়ায় দরদরিয়ে
রক্ত!
তাও ঠিক লাল নয় – ফ্যাঁকাশে
উল্কাপতন হয় মাথায়
বজ্রের বেনুবীণাধ্বনী তোলে জীর্ন হ্রদপিন্ডে।
বসুধা শতধা হয় পাঁজরায়
বন্যার জল আসে হুহুংকারে!
তলানী পলিমাটি প্রকৃ্তির বুকে টাঙিয়ে দেয়
একফোঁটা আশার ফতোয়া!
উৎসবের দিনগুলো, ব্যর্থতার চাবুকে লুটিয়ে পড়ে
প্রখর রৌদ্রতাপে, হলুদ হয়ে আসা একফালি জমিতে।
দুহাতে সমুদ্রকে ছিঁড়ে, পিষে, দলে
(যদিও তা সম্ভব নয়)
আমি খুঁজি ডুবুরী
শুধুমাত্র এককনা মাটি আগুনকে নির্বাপিত করে
উষ্ণ, ধুষর পান্ডুলিপির গুঁড়ো গুঁড়ো ছাই লয়ে আমি জ্বালাই
বাড়বহ্নি!
জ্বলি, পুড়ি, খাক হই।
বিস্তির্ন জমিতে মাদুর বিছিয়ে অলস ক্লান্তদেহ এলিয়ে পড়ে
(যদিও তাতে মাটিই বেশী স্পর্শ করে শীর্ন তনুখানি)
মুদে আসে ম্লান আঁখি এক অপ্রাকৃতিক আরামে
নিদ্রায় ও জাগরণে
আমি শুনতে পাই
ঝিঁঝিঁ পোকার অক্লান্ত ডাক
ঝড় তোলে
উলুখড়ের বনে।