নিঃশ্বার মধ্যাহ্নের দ্বিপ্রহরে
কোথা হতে
ভেসে আসে এক বুনোফুলের গন্ধ
ভাবি বুঝি ঐ এল নৈসর্গের –
চিঠির পুবার্ভাস।


চিতার আগুনের পোড়া ছাই
ভেসে ভেসে আসে
মনে ভেসে যায় এক
অর্পুব অচিন্ত্য চিন্তা।


কুসংস্কারের কঠোর বেড়া
দারুন পদাঘাতে ভেঙে
বালক ছিন্ন বসনে ছুটে যায়।
কিন্তু হায়! ফিরে আসে
সমুখে ধু ধু মরীচিকা!


ভাবী খ্যাতির ভাঙা কার্নিশ বেয়ে
ছুটে যায় যে পথিক
যে ভাবী ঐশ্বর্যের কানায় পা দিয়ে
হেটে যায় সন্তর্পনে  ! সমুখে
বিরাট, বিশাল আশার মরুভুমি।


কিন্তু যে মুহুর্তে,
হতাশার পাঁক হতে
আশার বালুচরে
রাখে অঙ্গুলীস্পর্শ! তখুনি যে হায়!
ভেঙে যায়! গুঁড়িয়ে যায়! তলিয়ে যায়!
আবার সে পাঁকে।


তবু আজও শকুন ওড়ে আকাশে
মাটিতে মানুষ, আজও আঁকে, আশার
অস্ফুট বলিরেখা নিজ বক্ষপটে;
আগামী দিনের যন্ত্রের যন্ত্রনাকে উপেক্ষা করে যিনি আসবেন মানুষ
যিনি কুসংস্কারের আবদ্ধ কারাগার ভেঙে
পৌছে দেবেন মুক্তির ঊষালোকে


         শয্যা তৈরী;
নরম কুসুমকোমলকুশন, পাশে পানপাত্র
আবার তারি পাশে –
দেওয়ালে ঝোলে ধারালো মাদল – খাপে ঢাকা তলোয়ার
কোনটি তিনি বেছে নেবেন?
কঠিন সাধনার মিথ্যা স্ফটিকে –


মাথা খুঁড়লেও পাব না।
জানব না,
তার অলখ পরিকল্পনা অথবা
বাস্তব সিদ্ধান্ত।


কিন্তু তবু আমরা
এই সমগ্র মানব গোস্ঠি
বহু অনাগত আশার হাল ধরে বসে আছি


তিনি আসবেন,
তিনি আসছেন।