কেন?
এই আক্ষরিক শব্দ দুটি
পাশে তারই একটি জিজ্ঞাসা চিহ্নের অস্ফুট বলিরেখা।
কিন্তু তারও কত
গভীর নিগুঢ় ছায়াময় পল্বল জলঙ্ক।
প্রশ্নের পর প্রশ্নে যখন বালক, শিশুমন জর্জরিত
যখন বহু দুরাগত বিস্ময়ের স্রোতবানে
মনের আগল ভেঙ্গে পরে, ঢুকে পরে নোনাজল
তারই প্রতিরূপ এই জিজ্ঞাসা।
কেন? কেন?


অচেনা অদেখা স্রোতস্বিনী
মরিচিকার চোরাবালিতে হারিয়ে যায়! তলিয়ে যায়!
কেন?


কেন অসময়ের শীর্ণ মুকুল ঝড়ে পরে?
কেন কৃতান্ত রাহুর দুরন্তছায়া ঘিরে ফেলে তপনে?
অশরীরি আত্মার মৃত্যুঞ্জয়ী প্রান প্রানপনেও কেন
তুলে ধরতে পারেনি অসাম্যের রক্ত লিখা।
কেন? কেন? কেন?


ক্ষুধার্ত বলিভুক
দুটো শুকনো রুটির তরে করে
দন্ধ পরস্পরে?
নিঃশ্বারে বাহ্যের রাশীকৃ্ত, পুঞ্জিভূত গ্রন্থাবলী
এলোমেলো করে উচ্ছল, উৎসৃংখল,
কেন পায়নি মানুষ
একক প্রহর এই
কেন’র সদুত্তর?
হায়!


কেন’র প্রতিদ্ধনি কেন হয়েই প্রতিদ্ধনিত হয়
অজানার দুর ফলকে।