শৈশবের ক্লান্তিকর অধ্যায় পিছনে ফেলে -
আজ আমি কিশোর।
চির নবীনের আকুল প্রার্থনায় -
দিয়াবল এসেছিলো, পৌছে দিয়েছিলো কৈশোরে,
কিন্তু সেও চলে গেছে হেমন্তের মৃদু আগমনে
মাঝে মধ্যে যখন কিশোর আমি, পিছনে তাকিয়ে দেখি -
চাই না! চাই না তারে!
চিৎকারে ফেটে পড়ি, সমুখে দেখি চেয়ে, কিছু নাই শুন্য মরিচীকা
শৈশবের আমি, বাঁধাধরা জীর্ন প্রাচীর ভেদি।
পিছু পিছু করে ধাওয়া বারংবার চেয়ে বলি আমি
“তবু ছারিবিনা মোরে?”
সে হাসে
হেমন্তের শুভ্র এক, নাম না জানা ফুলের মতো, সমুদ্রের আলতো ফেণার মুকুট পরে।
যেখানে যাই নিরিবিলি কী কোলাহল, সে ঘোরে পিছু পিছু
ছায়া সম এসে, কভু পাশে পাশে।
বাউল গানের তালে ভুলে যাই আমি, আমি যে কিশোর।
শৈশবের ক্লান্তিকর অধ্যায় পিছনে ফেলে -
আজ আমি কিশোর।


এক উড়ন্ত চিলের কর্কশ ডাকে, নোনাধরা দেওয়ালের ফাঁকে
এক অধরা বটের চারা উঁকি মেরেছিলো,
কেউ তাকে কিন্তু ফেলেনি উপারিয়া।
ধীরে ধীরে শতসহশ্র শাখা প্রশাখা মেলি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলেছিলো চেয়ে আকাশের পানে।
কেউ হয়তো চেয়েও দেখে না, করে না আদর, দেয় না একবিন্দু নির।
নিজের অজান্তেই যে পা দিয়েছিলো শৈশব ছাড়ি কৈশোরে।
ঘুমন্ত স্বপ্নের মতো
মৃদু ছোঁয়া না ছোঁয়া, আবছা অস্পস্ট ধোঁয়াসম।
নটরাজের নৃত্তের তালে তালে
আমি পা বাড়িয়েছি -
অজানা ভবিষ্যৎ-এর পথে।
স্মৃতির সড়নী বেয়ে, কভূ হয়ে যাই শিশু
যেন আধফোঁটা
কুমুদকমল।
পিছনের সাথে পা মিলিয়ে
ভুলে যাই আমি
আমি হে কিশোর।
শৈশবের ক্লান্তিকর অধ্যায় পিছনে ফেলে -
আজ আমি কিশোর।