ঐ সিন্ধুর ওপার থেকে যেন কার
ভেসে আসে কণ্ঠস্বর, যেন ঐ অসীম লোকের যাত্রী।
যার কোনোদিন হবেনা প্রাণ মৃত্যুতে মলিন।
তবে কেন এই হাহাকার! ক্ষুধায় কাতর ম্লানমুখ
সে ভাসে আঁখিপাতে সমুজ্জ্বল! হে বিশ্ব
তোমারি তরে যারা দিয়ে গেছে এক নদী রক্ত।
যার সমর্পিত প্রাণ
তোমার জন্য তোমারি শৃঙ্খলমোচনে
ছিলো অর্ঘ্য।
ইংরেজ অধীন হয়ে অগ্নিদাহে দগ্ধ হতো যাদের জীবন।
যারা অপমানে লাঞ্ছনায় ক্ষোভে দুঃখে ফেটে পড়েছিল।
ভারতের মাটিতে তোমারি বুকে জ্বালিয়ে দিয়েছিল বিদেশী যে
রাজদন্ড।


উত্থিত করেছিল তাদের উষালোকের পতাকা।
তাহা কী স্মৃতির অন্তর থেকে মুছে দিয়েছো!
শুনছো হে বিশ্ব!
কিন্তু তারা যে বতর্মানে তোমারি বুকে শহীদরুপে
সারি সারি সমণ-বিরোধী প্রাণ ঘুমিয়ে আছে, লক্ষ লক্ষ।
তারা ডাকছে, তারা বলছে – আমাদের বাঁচতে দাও, পুনর্জন্ম দাও, দাও মা শক্তি।
যে হাতে শৃংখল করেছি মোচন,
সে হাতে করব তোমার অভিষেক রক্ত দিয়ে মা।