অন্ধকারের রন্ধ্রপথে -
গহীনের গন্ধ ধরে ধরে,
সুরচিত হ্রদপিন্ড ফাটিয়ে বেরিয়ে এসে –
দিবালোকে নিজেকে কেমন নিরন্ন নিশিথীনি বলে মনে হয়।


নক্ষত্রের প্রতি বিন্দু হতে,
নীলচে কিছু, জীবনের –
রসকনা শুষে নিয়ে, নিজেকেই ছিবড়ে করে দিয়ে –
দিবালোকে নিজেকে কেমন নৃশংস বিদারিনী বলে মনে হয়।


সমুদ্রের পাড় ধরে ধরে
বাতাসের আলোপথে নিতান্ত আলস্যভরে ভেসে গিয়ে
সোয়ালো পাখীর মত
ইউক্যালিপটাস গাছের অস্পস্ট কোটরে
শুধু নীরবে চুপচাপ, একাকিনী –
দিবালোকে নিজেকে কেমন তিক্ত অসহায়া বলে মনে হয়।


রোঁমারোঁলা কি রবীন্দ্রনাথ থেকে
এই ’ত সেদিনের গজিয়ে ওঠা
আর্দ্র রাজনীতিজ্ঞের মাসিক পত্রিকায় কখন
অলস আঙ্গুলে
বুলিয়ে গেছি খেয়াল নেই।
অনুবাদ ঝেড়ে উঠে এসে জানলার মধ্য দিয়ে
শহর নামধারী –
জঙ্গলটার দিকে একদৃস্টে তাকিয়ে থাকতে থাকতে –
দিবালোকে নিজেকে কেমন পাশব হিংস্র বলে মনে হয়।


চারদিকে যখন অবিশ্বাসের ধোঁয়াশা
দেখে দেখে ক্লান্ত চোখ দুটো ধীর পদক্ষেপে
ক্ষয়ে আসা
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে যায়।
হঠাৎ থমকে দাড়িয়ে, বিগত শতাব্দীর
লাল দাগ মারা তারিখ খানার ঝুরে যাওয়া
দেখে,
আপ্রান চেস্টার শাদাটে মাছখানা স্মৃতির
সমুদ্রে খলবল করে ওঠে যখন,
বিশ্বাস করুন
বিংশ শতাব্দীকে মেনে নিয়ে
সেই মুহুর্তে অন্ধ রাজপথে –
দিবালোকে নিজেকে কেমন অনুপম, বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়।