অলস কিছু দুপুর আর বিশ্রস্ত রাত, পেরিয়ে চলে অনন্ত যৌবন,
ছাদের কোন বেয়ে নেমে আসা বৃষ্টির ফোঁটা -
দেখতে দেখতে আমি তোমার হাতে হাত রাখি।


আজো দইওয়ালার পথ চেয়ে বসে আছে অমল,
কৃষ্ণচূড়া গাছে পাগল করা লাল তোমার ভীষন ভীষন নরম দুটি ঠোঁট...
তৃষ্ণার্ত হতে হতে আমি তোমার হাতে হাত রাখি।


কখনো কখনো কিছু চুর্নচুল.. তোমার কানের পাশে লেপটে যায়
আমার তর্জনি ছুঁয়ে যায় তোমার নাভি এক কেমন মন-কেমন করা গোধুলী..
কাল আবার সুর্য উঠবে ভাবতে ভাবতে  আমি তোমার হাতে হাত রাখি।


পাহাড়ের চুড়ায় উঠে সাক্ষী হই আমি তোমার রক্তাক্ত ঠোঁটের
ভীষন উন্মুক্ত পিঠে নিরাবরণ কিছু গভীর প্রেমের আঁচড়...স্বেদবিন্দু...
নিগুঢ় আশ্লেষে পান করতে করতে আমি তোমার হাতে হাত রাখি।


আঁচল ওড়ানো ভ্রুভঙ্গ আর সুর্য-নেশা চোখ আধো আবজানো দরজা;
ঠেলে সশব্দ প্রবেশ, তোমার প্রশ্রয়, তোমার দুস্টুমি, তোমার নেশা,
সব মিলিয়ে.. আমার ঠোঁট ডুবে যেতে থাকে তোমার ঠোঁটে.. আর
আমি তোমার হাতে হাত রাখি।


আজো আজো প্রতিদিন নিয়ম করে সন্ধ্যে নেমে এলে
নিঃস্বার্থ ভালবাসায় জমে থাকা দেবদারু পাতা..
কিছু ফুল... টুকরো মোমবাতি..তোমার কবরের ওপর থেকে;
আলতো সরাতে সরাতে আমি তোমার হাতে হাত রাখি।


স্নিগ্ধা, আমি তোমার হাতেই হাত রাখি।