একটানা ক্যু-ঝিক-ঝিক শুনতে পাবো বলে বেশ ঠাসাঠাসি ট্রেনে চড়ে বসা। কে যে ক্যু-ঝিক-ঝিক কথাটা প্রথম বাঙ্গালী মননে ছাপ্পা মেরে দিল কে জানে, আমার তো বেশ জল-জল-ঝিরি-ঝিরি-জল-জল-ঝিরি-ঝিরি মনে হয়। ঝালমুড়ি, পেন্সিল ব্যাটারি, পাম্প বালিশ, সিটে পা মুড়ে বসা দেহাতি চেহারার সিল্যুট ভেসে চলে যেতে থাকে বেশ মনোরম ভাবেই। একবার মনে হল জানলা দিয়ে দেখা মাঠে আমাদের গোল্লা-ছুট অথবা ঘাস ডিঙ্গিয়ে প্রজাপতির পিছনে পিছনে চলে যাচ্ছে সেই চেনা চেনা দুপুরগুলো অথবা মারাত্বক স্কোয়ার কাটে কঞ্চি-বেড়া পার করা চা---র! অথচ চার-মারা সেই অমলটা নিজেই কবে ক্লিনবোল্ড! বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে না। আর এবার নেমে পড়া উচিৎ মনে করে নেমে পড়ি। ট্রেনটা চলে যায়। এবার পকেট থেকে বার করি কবিতার পাতা আর সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে পকেটে রসদ কিছুই নেই। আমি বাড়ি ফিরব কি ভাবে?