বিছানার ঠিক পাশে এক নদীভাস্কর অনুপম রচনা ছাপ দিতে চায়। মাথার পাশে লন্ঠনের ধুমায়মান শিখা বিসমিল্লার সানাই-এ ভীমপল্লশ্রী। ব্যর্থ প্রেমিক হবার ন্যুনতম যোগ্যতা হারাতে থাকে পায়ের কাছে লুটিয়ে থাকা চাদর। স্বপ্নের প্রেমিকাকে না ছোঁয়ার বাসনা তীব্রতর হয়। হাল্কা ঘুম জড়োসড়ো হলে চলো হ্রদের পাশে ঘুরে আসি বলবে না কেউ। বাইসনের এক শিং, কবে পড়ে ছিল মনের তলানীতে, সেই রাতে তারও ঘুম ভাঙ্গা চাই। ঝিঁঝিঁ পোকা ঘিরে থাকে যে ক্ষত মুখ, সেই ক্ষত সরু জানলা পথে চুঁইয়ে আসা জ্যোৎস্না আলোয় নিজেকে নিজেই শুকিয়ে নেয়। এবার কবির ঘুম ভাঙ্গবে, মাঝরাতে ভয়ের স্বপ্ন দেখে আচমকা জেগে উঠে জল খাওয়ার মত একটা কবিতা লেখা চাই। আর তারপর? চরাচর নিস্তব্ধ। এবার কবি ঘুমোবেন।