শেষ ওরা ফেলে এসেছিলো দৈহিক জীবনটাকে
দেহের প্রতি কোষ মরে যাচ্ছিল দলে দলে প্রতিদিন
আমি শিয়াল দেবতার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ
ঝাড় লন্ঠনের আলো যেভাবে নিভে যায় একে একে,
সেইভাবে আমার প্রতিটি, তখনও অবধি জীবিত কোষগুলো, আকুল হয়ে ধেয়ে যাচ্ছিল এক নিবিড় মৃত্যুর দিকে।
এক জ্যোতিষী বলেছিলো - আমি সত্তর বছর বাঁচব – চোখবুজে
আমার বাবা, মা, যাদের সেবায় আমি নিবেদিত প্রাণ ছিলাম- দিয়েছিলো তাদের পরমায়ু
আর দেবতারা, কমপক্ষে গুটিবিশেক হবে, নিত্য সেবায় ভারি সন্তুষ্ট ছিল


আমার যুবক দেহ............... সব মিথ্যে করে দিয়ে উপুড় হয়ে পরে ছিল কত.....ক্ষণ
আমি গালি দিয়ে বলি..........এভাবে মা আর মন্দিরের কথা উপেক্ষা করতে হয়!
ছিঃ!
আমার শেষাংশে ঘাপটি মেরে থাকা মাইটোকন্ড্রিয়াগুলো বিশ্রীভাবে হাসতে থাকে।