আত্মনিবেদিত প্রাণে এ অনন্তদহন। শীতের সাতকাহন পেরিয়ে বসন্তের
রঙ্গমঞ্চে পা রাখার অনির্দিষ্ট বোধ তাড়িয়ে বেড়ায় বিকেলের নির্লিপ্ত
আলোকে। কষ্টার্জীত আকাশ তার অবসন্নতার ভারবহন অনিশ্চিত দেখে
নাজুক তারাগুলো ভীষণ ব্যঙ্গে হাসে আর এ হৃদয় সে বিবাগী হাওয়ায়
ভরন্ত ধানজমির ওপর আপাত নিশ্চিত অদেখা অলেখা ভবিষ্যতের বীজ
বপন করার সার্থকতা খুঁজতে যায়। যা পাওয়া গেছে তাঁকে সমুদ্রে ডুবিয়ে
রাখা হয়নি আশাডোবা নিশ্চিন্তে। যা পাওয়া গেল তার দিকেই বার বার
অঙ্গুলিনিক্ষেপ সতত মরণশীল নাট্যচিন্তার অংশ হতে থাকে। ভাঁজখোলা
পাণ্ডুলিপির কিছু পাতা আচমকাই খুঁজে পাওয়া গেলে পাতাবাহার গাছের নীচে
অলস দৃষ্টি এড়ায় না রং বিবর্ণ হয়েছে কবেই! অতি দ্রুত পদক্ষেপে দাবার
ঘুঁটি বাড়িয়ে দেওয়া, অতি দ্রুত কুয়াশায় ভেসে যাওয়া জীবনের অংশকে
ভুলে থাকার প্রয়াসে সাতটি তারার বলয়ে অষ্টম সাথী হতে চাওয়া অথচ
মিনিট সেকেন্ড মিলিয়ে দিচ্ছে জাগতিক সব হিসাব। লোলুপ পদলেহনে ধুলো
হচ্ছে সাফ। বহুব্যবহৃত নারীদের বিনিময়ে লোলচামড়ার বিগতপ্রায় যৌবনের
ব্যর্থ আকুতি নিস্ফলা রমণীর পুনর্জন্ম দেয়। আর জীবন তার নিজস্ব ঘাত
প্রতিঘাতে বুঝতে থাকে পারতপক্ষে সুখ এক পাখীর নাম।