ভালো করে শিকড় চোয়ানো জলে আমি ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম আমার মাথা
কুচো কুচো জলের কণাগুলো,
খুচরো বরফকুচির মত তখনও লেগে ছিল আমার ঝাঁকড়া চুলের ডগায়।
তুমি এসে দাঁড়িয়েছিলে আমার পিছনে,
আমি জানতাম এ সেই তুমি.....পাত্তা দিলাম না।
তুমি বললে চলে এসো সোনা, ঠাণ্ডা লেগে যাবে।
আমি তখন সদ্য-চাষ-করা নরম মাটির আঘ্রান নিচ্ছিলাম,
সেই মাটিতেই মুখ ডুবিয়ে,
আমার মুখের, নাকের চিবুকের রোমকূপগুলো ঢেকে দিচ্ছিল উষ্ণ মাটি।
তুমি বললে উঠে এসো.....পাত্তা দিলাম না।
আমি তখন আমার দুটো আজানুলম্বিত বাহু মেলে ধরেছি।
আমার দশ আঙ্গুল রডোডেনড্রনের মাথা ছাড়িয়ে ছুঁচ্ছে কিছু মেঘ
কিছু মেঘ আমার আঙ্গুলে জড়িয়ে আমার বাহুমুলে মেখে নিচ্ছিলাম পরম সুখে
আমার দুটো পা প্রস্তরপ্রোথিত হচ্ছিল আগ্নেয়শিলার মধ্যে ধীরে ধীরে
আমার কোমর ধুয়ে দিচ্ছে সদ্যনির্গত লাভা।
তুমি বললে পাগলামি কোর না, চলে এসো....পাত্তা দিলাম না।
আমি বেশ বুঝতে পারলাম আমার ঝাঁকড়া চুলের নাগপাশ মেলে ধরছে বিষাক্ত ফণা।
তুমি ভয় পেয়েছ, তবুও কিন্তু এটাই আমি সোনা, চলে এসো আমাতে।
তুমি চলে গেলে তোমার চোখের জল তোমারই দুগালে শুকিয়ে যাবার আগেই।
আমিও মুখ ফিরিয়ে নিলাম,
পুরো দেহটাই ডুবিয়ে দিলাম আজ সকালেই ফোঁটা কিছু গোলাপের মাঝে।