আমার নিজস্ব একটা বাড়ি আছে। জানালায় রঙিন ঝালর।
কবিতা লেখা আর হাসি হাসি মুখে উপহার নিয়ে যাওয়া আছে।
গরমে এসি চালিয়ে শুতে যাবার আগে সে বাড়ির বারান্দায় সুখটান আছে।
আমি ভালো ছেলে, দেদার পড়াশুনো করে আরও ভাল ছেলে হওয়া গেছে।


আমার সেই নিজস্ব বাড়িতে তাড়াতাড়ি যাব বলে শর্টকাট করি খারাপ পাড়া দিয়ে,
যাবেন নাকি? ফিরে দেখি সে মুখ!
যা দেখতে চাই না, শুনতে চাই না, যে উষ্ণতা মাখতে চাই না।
আধামুখে ব্রনওঠা, লালে ছোপানো ঠোঁট – যাবেন নাকি?

আমি থমকে দাঁড়াই, আমার প্রেয়সীর মুখ মনে পড়ে
আমার জন্মের ক্ষিতি মুহুর্ত – ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর।  
ভাবি এ সেই নারী, এও এক নারী, এও এক মা, এও এক ভালোবাসার মানুষ।
নাড়ি ছিঁড়ে ঋতবান করে তোলার প্রচেস্টা সে আদিকাল থেকে তাঁর সমান।


আমি মুর্খ মানুষ, বুঝি শেখার কত বাকি রয়ে গেল।
যাবেন নাকি? যাব না বলতেও জিভ জড়িয়ে আসে।
সকল ছোঁয়া, সকল বদ্ধ বাতাস, সব সব পায়রার খোপ এড়িয়ে এসেও –
গলির শেষ মুখে নিজেকে সম্পুর্ন চরিত্রহীন নিঃস্ব মনে হচ্ছে।