দেওয়াল থেকে সজোরে নামিয়ে আনি দাদুমার্কা বুড়ো ঘড়িটা
একটা একটা করে কাঁটাগুলো উপরে ফেলি।
কোথায় রাখবে তুমি? চেষ্টা করেছ বড় কাঁটাটাকে এক নাবিকের বুকপকেটে,
তুমি ছিলে কোথায়? সেকেন্ডে সেকেন্ডে ডায়াবেটিসের চাপে বাপ বাপ!
হৃদয়ে নিকোটিনের কালচে বাষ্প ভাইসাব! আরেকটা সিল্ককাট হয়ে যাক।
পয়সা বই তো কিছু নয়।
ঠাকুর লেকচার ছেড়েছেন – টাকা মাটি মাটি টাকা।
সকলের চোখ এড়িয়ে লুকিয়ে রাখি মিনিটের কাঁটাটিকে।
এবার সব ঘর মিলিয়ে মিশিয়ে, মায় প্রপিতামহের তোরঙ্গে রাখা বাতিল ঘড়িটাও।
সবকটার আজ শেষ দেখে ছাড়ব!
তিন ছয় নয়......... শিরার রক্তের মধ্যে দিয়ে চলে যাচ্ছে গোপনে।
ঘুম বলো বা ডিনার, বেবিফুড বা গ্যাসট্রিকের ওষুধ...সব সময়ের সাথে।
সঙ্গমক্লান্ত আঙ্গুলেও শিশুতোষ কবিতা লিখে ফেলতে পারবে, শুধু ঘড়ি যদি না...........  
বার বার নোংরা কাপড়ের টুকরো দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে ফেলতে চাই –
দেওয়ালে ঘড়ির দাগ আর দাগ আরো স্পষ্ট হয়।