বেশ বুঝতে পারছিলে তুমি মারা যাচ্ছ,
বা প্রায় তার কাছাকাছি কিছু,
হাত, পা, গোটা বারো দাঁত আর শিরদাঁড়া মুচড়ে একেবারেই যাকে বলে ‘দ’।
বুকের ভিতরটা আচমকাই খালি হতে হতে
আর বোধের উর্দ্ধে ওঠা যন্ত্রণাকে নিবিড় চুম্বন করতে করতেই
ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট।
তুমি চাইছিলে না শান্তিনিকেতন, চাইছিলে না রাজকীয় হেলমেট,
চাইছিলে না লাচ্ছা, পর্ক-সাপ্টা, ৫৫৫, প্রেমহীন সঙ্গম, ইসবগুল,
চাইছিলে না গুলাম আলী, মারিয়ার ফর্সা-ঊরু, সর্দি-পোঁছা রুমাল।  
তুমি চাইছিলে তোমার বাবা, মা, বোনকে ভীষণভাবে,
বাবা, মা ফিরে আসুক সশরীরে, বোন মুছে আসুক সব কলঙ্ক।
অথচ জানতেই পারছিলে তুমি কোমায় চলে যাচ্ছ,
সেখান থেকে.......তুমি জানতে, তুমি সব জানতে তুমি।
আর জানার বোধ যখন আরো কিছুক্ষন বোনাস পাওয়া গেছে,
নার্সের কোমল আঙুলগুলো তোমার দারুন লাগছে।