আয়নায় তোমাকে দেখতে বেশ লাগে,
গভীর ভাবে তোমার নদীরঙ্গা কপালে টিপ আঁকতে দেখে।
বেশ কাছাপেড়ে শাড়ি পড়ার ঢং!
আর পিঠচুয়ে নিচে আলতো গড়িয়ে পড়া পাউডার।
আমি আয়না ঢেকে দিলাম।  
তোমার নাভিতে এক আঙ্গুল দিয়ে অন্য হাতে ছুঁড়ে দিলাম এক মুঠো সিঁদুর।
মুহুর্তে ঘরের ছাদে সিঁদুর সিঁদুর মেঘ।
নিশ্চিন্তে শরীরে শরীর নেবার তাগিদে যে জানালা তিনটে বন্ধ রেখেছিলাম,
আর দরজাও খিলতোলা,
হাট করে খুলে যায়।
দেখ দেখ কিশোর পিওন – তোমার চিঠি এসেছে।
চিঠি এসেছে? এলো তাহলে।
তাড়াতাড়ি খোল, দেরী করলেই লজ্জা বাড়বে।
জানলা দরজা দিয়ে ঘরে হুহু করে লোক ঢুকছে, বেশীর ভাগই নবোঢ়া।
আমিই একটা ঘরের মাঝে – সুতোহীন।
ইসসস! কি লজ্জা! তোমার নরম কাঁধ, গভীর নাভি আর পাচ্ছি না তো।
শরীর ঢাকবার জন্য একফালি কাপড়... কোথায় যে সব জিনিষ রাখো!!!
চিঠির খামটাও খুলতে পারছি না ছাই!