তোর পায়ের পাতা শিশিরে ভেজা, হাতের মুঠোয় বালি
হিজলবনের নরম পাতায় ডুবে যাচ্ছে তোর আঙুলগুলো
গাংচিলের ডাকে পাশ ফিরে দেখি
         - তুই সেখানেই দাঁড়িয়ে আছিস পারুল!
ডোবার কাকচক্ষু জল সমুদ্রের ফেনায় ঢেকে যাচ্ছে,
বাঁশবনের পিছনে লুকিয়ে পরতে চাওয়া শেষ রুপালী রোদ
তোর কপালের টিপ ছুঁয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে।
লবণাক্ত বাতাস আমার কানে কানে -
(কি ভীষণ শিরশিরে, কি ভীষণ আদুরে)
বলে গেল – এখন সন্ধ্যে নেমে আসছে।
তুই আর দাঁড়াস না,
             তুলসীতলায় পিদিম জ্বালাবার সময় হয়েছে।
তুই ঘরে যা পারুল  
             কার্তিকের কুয়াশায় ভরে যাচ্ছে মাঠ।
আর যতক্ষণে তোর টালির ফাঁকে –
আকাশপ্রদীপের ঝিমুনে আলোয় তোর চোখের কাজল চিকচিক করবে,
আমি তখন অ-নে-ক দূরে।