আমার কবিতা আমাকে বোঝে না,
বারে বারে অতিক্রম করতে চায় কলমের চৌকাঠ,
আবিষ্ট চেতনার বাঙময় ইতিকথায় এসে পরার প্রাক্ মুহূর্ততেই,
থেমে যায় আর বোবা নিব –
কালাহারি বস্তির নোংরা গলিতে নিমেষে মিশে যেতে থাকে!
কি অন্ধকার, কি অন্ধকার, তুমি বাঁচবে কি করে এখানে কবিতা?
তুমি কোথায় কবিতা?
কিছু চলনশীল প্রেতাত্মার সাথে,
পিচ্ছিল কলতলা হতে ডাক আসে – আমি এখানে কবি, আমি এখানেই কবি।


আমার অভ্যস্ত হাত তরল জ্যোৎস্না থেকে কুড়িয়ে নিতে চায়-
সে দিনের মত বাছা বাছা শব্দের পরশ,
আরো আছে, আরো আছে,
জানো কবিতা, তুমি এখানে থাকো, ফুরাবে না কোনদিনও।


কবিতা ক্লান্ত চোখ মেলে চায় -
হায় কবি, তুমি বোঝো না?
অদৃশ্য পাপবোধ হয় না নিস্তরঙ্গ জীবনের স্বাদভক্ষন করতে করতে?
প্রতিটি কবিতার জন্মের সাথে সাথে হয় না কি নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ?
তুমি আমায় বোঝো না কবি, কিছুতেই বোঝো না!


আমার কালকের ফেলে আসা কবিতার অক্ষরগুলি
(অকলঙ্কিত শব্দগুচ্ছ দিয়ে কালজয়ী অক্ষরে লেখা),
পুড়িয়ে দিতে থাকে নিরুপায় আক্রোশে, আমাকে বোঝাতে না পেরে।
আমিও ক্লান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি,
আমার কবিতা আমাকেও বোঝে না।