বাড়িটা এবার বেচেই দেওয়া হচ্ছে জানো?
জ্যোৎস্নাগুলোকে টুকরো টুকরো করে বেচে দেওয়া হচ্ছে জলের দরে,
উত্তরের বারান্দায় কি ভীষণ প্রতিরক্ষা বাহিনী তৈরি ছিল,
অলস রোদ তাকেও ফাঁকি দিয়ে ঢুকে যেত তোমার জন্য,
আর আলসেতে রাখা পাতাবাহার?
যাতে জমা শিশিরগুলো রোজ তোমায় চোখের পালকে আশ্রয় নিত,
তাদেরও বেচে দেওয়া হচ্ছে প্রায় জলের দরে,
কিছু অভিমান, কিছু জলছবি, কিছু পাঁচমেশালি দুপুর,
যা অকারনে আঁকিবুঁকি কেটে যেত এলোমেলো চাদরে,
তোমার একটা আঙুল তাতে বিলি কেটে কেটে শেষে জলের রেখা,
তাদেরও নিলামে চড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ঘুনধরা বইয়ে ঠাসা আলমারিটা – বেচে দিক ক্ষতি নেই,
তাই বলে –
সুচিত্রার ‘কাছের মানুষ’-এ সে কবে গুঁজে রাখা বেলপাতা,
তাও?
সে তো আমার জন্যই ছিল বলো?
আর তোমার চুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে রাত্রির মিহিন বাতাস,
কড়ি বরগা ছুঁতে চাওয়া তোমার ছোট্ট ছোট্ট ইচ্ছের ফসফরাস,
সব সব বেচে দেওয়া হচ্ছে জানো?


এবার তোমাকে নিয়ে আমি দাঁড়াই কোথায়?
একটা ফটোফ্রেমে আটকে থেকে কিই বা করতে পারি?
তাই না?