ওরা কি সব ঘুমিয়ে পড়েছে?
খুলে দাও তবে খিড়কির দরজা,
আলতো নিভিয়ে দিও প্রদীপের শিষ,
একটু একটু করে খুঁজে নেব তোমার শরীর থেকে কবিতার খুঁদকুড়ো,
শিথিল মন্থর পায়ে নয়ত অবিশ্বাস করে ফেলব ভালবাসার পাপ।


শেষ বেলায় মুঠো খুলে দেখব নাভিপদ্ম,
ফিরে আসব আবার খিড়কির দরজায়,
অবিশ্রান্ত হাওয়ায় ভাসতে দেখবো তোমায়,
সেই মুহুর্তেই থামিয়ে দেব কলরবে মাখা এই শহরের শরীরী চাহিদা;
নয়ত ফের ঝাঁপাবো জনসমুদ্রে অবিশ্বাস্যরূপে।  


দুহাতে দুই কমণ্ডলু ঝুলিয়ে;
মাটির ওপর দিয়ে টেনে টেনে কবিতার দন্ডিপাক,
বিসর্জনের বাজনা বড় করুন লেগেছে জন্ম মুহুর্তেই;
নিষেধের ধক কাটিয়ে উঠে শরীরী অপ্রাকৃত টান;
তোমার সাথে মিলন...অপার্থিব...অপার্থিব!


নাভি মণ্ডল থেকে উত্থিত হতে বজ্র হ্রেষাধ্বনি;
বিন্দু বিন্দু করে মুছে দেব আজ অপরিচয়ের গ্লানির দাগ,
মুঠো খুলে নাভিপদ্ম আবার নতুন আরেক জন্মের প্রতীক্ষায় -
আমি আবার সেই খিড়কির দরজায় অপেক্ষারত।
ওরা কি সব ঘুমিয়ে পড়েছে?