অজান্তে এক বনমোরগ গড়ে তুলি,
অতি নিবিষ্ট মনে,
হাতের কাছে পাওয়া আকাশ থেকে রং তুলি ধার করে,
পায়ের কাছে লুটিয়ে থাকা নগ্ন মৃত্তিকা,
তার কাছ থেকে চাইলেই পাওয়া যায় যে মাটি,
সব মিলিয়ে মিশিয়ে গড়ে তুলি বনমোরগের মুর্তি,
প্রগাঢ় প্রজ্ঞায় এঁকে ইতিউতি তুলি বোলাতে বোলাতে,
এঁকে ফেলি এক বনমোরগের ছবি; প্রাগৈতিহাসিক যুগের;
সযত্নে গড়ে তুলতে থাকি;
সুগঠিত পা,  
বলিষ্ঠ দেহ;
উষ্ণীষের মত মাথার ঝুঁটি,
ভারি জান্তব এক পুচ্ছ।


নিমেষে রে রে করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে স্খলিত মানুষ,
ওরা সহ্য করতে পারছে না, ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলবে;
ওরা চিরকালই পারে না মৌলিক স্বেচ্ছাকে ধারন করতে।
মসৃণ পাটে পাটে রাখা শাড়ির ভাঁজ খুলতে চায়;
চায় না ধারন করতে মৃত্যুর মত সত্যিকে এই নিষাদ সমাজ।


নিমেষে রুখে দাঁড়িয়েছে আমার সাধের বনমোরগ।


আমিই পারলাম না, মানুষ বলেই বোধহয়,
রেখে গেলাম এক অসমাপ্ত ছবি,
আর বনমোরগের নিষ্ঠুর ঠোঁটে অবিমৃশ্য কামনা।