এইবার,
এইবার শোনাও তোমার কবিতা।


অথচ একবার শোন বলে শতবার শত অনুরোধ,
মহাজাগতিক পাহাড়ের চুড়োয় বসা মহা আসুরিক কন্ঠধ্বনি,
সময় আসেনি, আসেনি সময় এখনো,
এখনো তো জঙ্গলে জল ঝরার সময় আসেনি,
এখনো পিরামিডের সব বালি খসে পড়েনি,
এখনো তো সময় ঘড়ি ঘোষণা করে নি,
এখনো আচ্ছন্নতা গ্রাস করেনি প্রাগৈতিহাসিক উচ্ছ্বাস।


সহসাই সময় চলে এল,
হুহু করে সময় অনুসরণ করে এসে বলে গেল তৃতীয় পান্ডব,
যাজ্ঞসেনী আসছেন!
তৈরি হও,
তৈরি থেক তোমার বাছাই করা, ঝেড়ে পুঁছে রাখা –
রাজকীয় কবিতাসমূহ নিয়ে!
তিনি শুনবেন, তিনিই শুনবেন তোমার কলমের বুনো বাজপাখির আঁচর।
অবিশ্বাসের গ্লানি ধুয়ে সত্যিই এলেন তিনি,
শুনলেন আমার কবিতা।
ঘুরিয়ে দিলেন নিমেষে শ্রবনস্রোত হারকিউলিসের মতো।
আলিঙ্গন করলেন, বললেন ধন্য তুমি কবি।


আর যত ঈশ্বরিক উন্মাদনার প্রারম্ভ!
পায়ের নিচে মহাকাশ, উর্ধ্বে উড্ডিন সব শকুনের দল,
সবাই উন্মুখ - এইবার শোনাও তোমার কবিতা।
এইবার শোনাও তোমার কবিতা কবি।


মুখ নামিয়ে বললাম – বড্ড ঘুম পাচ্ছে, বাড়ি ফিরতে চাই।
অথবা চাই না ঘুমিয়ে আবার অনেক অনেক কবিতা লিখতে।
অপেক্ষা করতে চাই সেই সার্থকতার!
কবে এসে তিনি বলবেন,
এইবার শোনাও তোমার কবিতা।