আমি ঘেন্না করি তোকে,
ঘেন্না করি পরম আবর্জনায় মাখামাখি তোর ঐ সাধের সংসারকেও।
এমনকি তাকিয়েও দেখতে ইচ্ছা রাখি না।


কি দিবি আমায়?
পরম সোহাগে গলা জড়িয়ে ধরবি সনাতনী পথে;
নয়ত স্নানান্তে পাত পেড়ে বেড়ে দিবি -
ভাত, বিউলির ডাল, আলু-বড়ি-পোস্ত, মাছের টক; অথবা,
পুনকো-শাক, বীজি আলুভাজা; নয়ত,
খেরোর তরকারী... এই সব...এই সব তো?
এটুকুই তুই!


উদার দৃষ্টি হেনে তাকাতে চাই তোকেই পিছনে ফেলে,
আরো কিছু চাই, কিছু চাই অতিরিক্ত,
চাই সুন্দরী চিবুকের স্পর্শ;
চাই মেহনতি শাড়ির ভাঁজের রহস্য-নিংড়ানো অলি গলি;
চাই সাগর ছাপানো জলছবি; চাই পাহাড়ি বিছের কামড়;
চাই কবিতা, কবিতা, কবিতা...এত দিনেও যা লিখে উঠতে পারিনি।


ফিরে গেছে নির্লিপ্ত কিছু কিছু মুখ;
ফিরে গেছে তাঁরাও যাদের আঁকড়ে ধরতে চেয়েছি,
ভেবেছি ভালোবাসা নিহিত এখানেই; এখানেই আমার প্রানের কবিতার শিকড়।  


তবুও ফেরার দেরী দেখে জানলার শিক শোঁকে তোর মুখের মলিনতা।
এত ঘেন্না করি তোকে আমি, নিপাট নগ্নতাতেও;
তবুও দিনের উত্তেজনা স্তিমিত হয়ে এলে -
আমি তোকে জড়িয়েই শুয়ে থাকতে ভালোবাসি পরম আবেশে।