অবিরাম দৃশ্যপট আঁকার সময় হাতে,
রবীন্দ্রসদনের চত্বরে সনাতনী পদযাত্রা, অনেকটা সময় ধরে,
সেই কোন সকালে হরির চায়ের দোকানের ঝাঁপ খুলেছে,
আমিও উপস্থিত।
অনেকটা সময় জীবনকে চেয়ে দেখা একা একা,
আর চত্বরে চত্বরে মেছুনি মেলা,
কারা এলো, কারা চলে গেলো জন্মলগ্ন ছুঁয়ে ছুঁয়ে,
জানা হয়ত সম্ভব নয়, জানার রাস্তায় হাঁটতেও ইচ্ছে করছে না,
শুধু দেখতে চাই তোমার নীলচে পাড়ের শাড়ী,
বলেছিলে আসবে।


শুধু একবার একাডেমির ছাদ গোধুলিকে ধরে ফেলছে দেখলাম,
মাঝে তোমাকে দেখলাম মনে হচ্ছে, না তুমি না।
বেশ কয়েক বার চা আর কেক, বিস্কুট,
আর সুলভ স্নানাগারে পায়ের ছাপ রেখে এলাম।
সন্ধ্যের নাটকের প্রারম্ভে উজিয়ে আসা ভীড়ের মাঝেও খুঁজছি তোমায়,
বলেছিলে আসবে।


এদিকে গাছের মগডালে মন্ত্রমুগ্ধ পাখিরা,
রাস্তার ধুলো উড়িয়ে চলে যাওয়া যানবাহন ঝিমিয়ে আসছে তাও,
শেষ সন্ধ্যের সারা শরীরে অসুখ, তুমি আসলে হয়ত সেরে যেত,
হয়ত সব সব চিত্র সমাবেশ হেঁটে চলে আসত বাইরে,
হয়ত কায়মনোবাক্যে চাইতাম বৃষ্টি হোক,
ভিজে যাক অক্লেশে ধাপের পর ধাপ।
হেঁটে হেঁটে পেরিয়ে গিয়ে অপেক্ষায় থাকব স্ফটিক স্বচ্ছ জলের মতন,
বলেছিলে আসবে।


এখন অনেকটা নিশ্চিন্ত,
একের পর এক ঝাঁপ নেমেছে নিঃশব্দে,
নাটকের চরিত্ররাও যে যার বাড়িমুখো, আজকের পালা শেষ।
নিহত দানবের মত ধরাশায়ী সামনের রাস্তাটা, আর কেউ নেই।
একে একে বন্ধ হয়ে গেছে সব অন্ধকারের জানলা,
তুমি আমায় নিয়ে ভেবো না,
বলেছিলে আসবে। এসো, হাতে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে।
আমি আছি।