বিশ্বাস


"বিশ্বাস করো" কথাটা শুনতে বা বলতে
আমার প্রায়ই কেমন যেন খটকা লাগে
আমরা মানুষ
শ্রেষ্ঠ সবার।
আমাদের যেমন ধর্ম আছে
তেমনি সৎ কর্মও আছে,
জাতিতে জাতিতে বিভাজন থাকলেও
বেঁচে থাকার জন্য একটা জায়গায়
আমরা সবাই এক।
খাদ্যাভাসে ভিন্নতা থাকলেও
দেহের পুষ্টি সাধন ও
শরীর গঠন যেন একই সূত্রে গাঁথা।
এখানে ছয় রকম খাদ্য গুণের খাবার গ্রহণের বাইরে কেউ নই;
ধর্মীয় অনুশাসন, বিধিবিধান
ভিন্ন হলেও সবাই একটা ধর্মের আশ্রয় গ্রহণ করে পৃথিবীতে জন্মানোর পর প্রতিটি মানব শিশু
তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে
যে শিক্ষাটা বেশি পায়
সেটাকেই সে ধর্ম বলে বিশ্বাস করে।
প্রতিটা ধর্মই স্বগুণে, স্বমহিমায় মহিমান্বিত।
আমি যেখানে আছি সেখানেই
আমার শতভাগ বিশ্বাস।
আর সব ভাবি ভুল।
তাদের ভুলের পথ থেকে বের করা উচিৎ এ প্রশ্নও মনে জাগে।
আমার উপর যে এই দায়িত্ব অর্পিত হয়নি তাও আমি বিশ্বাস করি না।
আমি আমার মত, চিন্তাকে
প্রবল ভাবে বিশ্বাস করি
অন্যেরা আমাকে মানছেনা বা আমার কথা মতো চলবে কিনা
তা আমি আদৌ বিশ্বাস করি না।
ধর্ম আর যা-ই হোক
প্রবল বিশ্বাস আর নির্ভরতার
বাইরে থেকে ভাবা যায় না।
অমূলক মতানৈক্য, অন্ধ বিশ্বাস
আমাদের ধ্বংসের দিকে ধাবিত করা ছাড়া কিছুই নয়।
চিরন্তন সত্য আর যৌক্তিক বিষয়ের উপর একান্ত বিশ্বাসের নাম ধর্ম।
আমি যা জানি, যা মানি, যা বিশ্বাস করি তা আমার ধর্ম।
অন্যের বেলায়ও তাই হওয়া উচিত।
একান্ত অন্তঃকরণে অন্যকে বিশ্বাস,
অন্যে বিশ্বাস করানোর মতো
গুণাবলী অর্জন করাও ধর্মের বাইরে না।
আসলে ধর্মের আরেক নাম বিশ্বাস।
আর বিশ্বাসকে রক্ষা করাও ধর্ম।