মিথ্যার বেসাতি নিয়েই মাতৃগর্ভে
বড় হতে থাকে শিশুর জীবন।
মিথ্যা স্বপ্ন, মিথ্যা ভালোবাসা শুনতে শুনতে
পার হয় গর্ভকালীন বয়স।
প্রকৃতির নিয়মে প্রসব হতেও পারেনা
ছুরিকাঘাতে মাকে কেটে বের হয়ে আসে
মিথ্যার জগতে।
সেই থেকে মিথ্যার রাজ্যে
আমৃত্যু যন্ত্রণা মেনে নেয় মা।
শুরু হয় নবজাতকের সাথে মিথ্যার খেলা,
হাসি ফোটানোর জন্য মিথ্যা অঙ্গভঙ্গি,
খায়ানোর জন্য মিথ্যা গল্প
কাছে রাখার জন্য মিথ্যা প্রলোভন
মিছে মিছে প্রতিশ্রুতি
ঘুম পাড়ানোর জন্য মিথ্যা রূপ কথা,
মিথ্যায় মিথ্যায় গড়ে ওঠে জীবন।
তারপর একটা সময় শুরু হয় নতুন শিক্ষা জীবন
সেখানেও ছন্দ মেলাতে হাট্টি মাটিমরা মাঠে ডিম পাড়ে
বুড়ি চাঁদে সুতা কাটে
চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যায়।
যৌক্তিক, নৈতিক, মানবিক, আধ্যাত্মিক
মূল্যবোধের গুরুত্ব থকলেও
এসবের অত বেশি ধার ধরা হয়না
অনেক সময় অনেকের কাছে বলতে শুনি-
পৃথিবীতে লোকসংখ্যা বেড়ে গেছে
তাই অন্যায়  অসৎ প্রবৃত্তিও বেড়ে গেছে।
আসলে ভুলটা কোথায়?
মানুষ আজ শিক্ষিত হয়েছে
সভ্য হয়েছে, তাই ?
নাকি! সৎ মানুষগুলোর অসৎ চিন্তা আর অন্যায়ের ফলে
এসব হচ্ছে।
আগেকার দিনে এতো বেশি উপাসনালয় ছিলনা।
ধর্ম ছিলো শিক্ষার ক্ষেত্র,
অথচ আজ শিক্ষার সাথে ধর্মকে যুক্ত করা হয়েছে।
ইউটিউব চ্যানেল, বিভিন্ন মিডিয়াতেও
ধর্ম নিয়ে কত কথা
কত অজানা তথ্য জানাচ্ছে,
তারপরেও থেমে নেই
জবরদখল, সহিংসতা, ধর্ষণ, হত্যা,
অন্যায় বিচার, ঘুষ, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা,
অকথ্য বুলি, অসম্মান।
আসলে আমরা মিথ্যার বেসাতি নিয়েই
সবাই বড় হতে চাই
মিথ্যা দিয়েই সব কিছুর করায়ত্ব নিজের হাতে চাই।


১৩/০২/২০২০