ভীড়ে ভরা বাসটায় উঠেই ,পিছনে লাগলো খোঁচা ;
ফিরে দেখি লোকটা বোঁচা , ভাবটা শান্তশিষ্ট বোকা বোকা ।
একটু তবে এগিয়ে যাই ,লেডিস সিটের পাশে দাঁড়াই ;
একটু যদি স্বস্তি পাই !
ওরে বাবা ! অবস্থা ভয়ঙ্কর আরো ,
দুপাশ থেকে কনুই গোটা বারো ।
একটা হাত রড-বন্দি পতন-রক্ষী ,
আরেকটা হাতে কতজনকে রুখি ?
কনুইগুলোর সাহস বাড়ে, জাঁতায় যেমন ইঁদুর ধরে ।
একটা কনুই কালচে মোটা ,আরেকটাতে দগদগে ঘা ;
পিছনটাতে ততক্ষণে  ,কামড়েছে এক কাঁকড়াবিছে ;
তিনটে আঙ্গুল শাড়ির নিচে  হুলের মত বিঁধছে ।
শরীর জুড়ে অসভ্যতা , অসহ্য হোয়ে উঠছে ।


ঝাঁকিয়ে শরীর,চেঁচিয়ে উঠি –এসব কি হোচ্ছে ?
কনুইগুলো গুটিয়ে গ্যালো,আঙ্গুলগুলো অদৃশ্য ।
পিছন থেকে একটি আওয়াজ –
আরে আরে ইনি তো অস্পৃশ্য !
আশেপাশে হাসির হুল্লোড় আর বিদ্রুপের মার ।
শুনলাম না কোন পৌরুষ হুঙ্কার,
শুনলাম না একটিও প্রতিবাদের স্বর ।
মেয়েদের এমন ধর্ষণ তো রোজ ঘটে পথেঘাটে ,
যদিও তোদের নিষ্পাপ কুমারী চাই ,ফুলশয্যার খাটে !
একটু খবর নিয়ে দ্যাখ্-
এমনটা তোর মেয়ের সাথেও ঘটে ,
রোজ তার কলেজ যাওয়ার পথে ।
সেই ভীড়ে কি তোর লালা-ঝরা হাত –
নিজের মেয়ের শরীরে ছোবল মারে ?
চোরের মত মেয়ের শরীরে সম্ভোগসুখ খোঁজে ?
এমন ধর্ষণ তো রোজই ঘটে পথেঘাটে ,
মনে হয় যেন সমাজটা আজ ধর্ষণ- যুগে আছে ;
মানুষের দল পশু হোয়ে যায়, সভ্যতা পিছু হাঁটে ।।