গবুদাদা মন্ত্রি হোয়ে ,
ময়দানেতে সভা করে ;
সেই সভাতে ভীড় বাড়াতে ,জনতাকে ভাড়া করে ।
মন্ত্রিদাদা সভায় এসে বক্তৃতা শুরু করে ।
তোমরা সবাই  চুপটি কোরে শোন ,
জরুরী কথা বলি কয়েকটা ;
তোমাদের কথা ভেবে হু-হু করে প্রাণটা ।
মন্ত্রি হয়েছি অনেক ঝামেলা সয়ে ,
দু-এক ডজন খুনের মামলা খেয়ে ।
কি করি বলুন ,লোকগুলো ছিল বাজে ;
বাগড়া দিতো আমার সকল কাজে।
আমার চোলাই ব্যাবসা ,জুয়ার আড্ডা ;
ওরা খুঁজতে চাইতো সেসব গাড্ডা !
কি করি বলুন, অনেক বোঝালাম ;
শেষে নিকেশ করেই শান্তি ফেরালাম ,
জনতার ভোটে মন্ত্রি হোলাম ।
(ফাটাফাটি করতালি )


মন্ত্রিদাদা আবার বলেন,
আমার পিতিজ্ঞার লিস্টি শোনেন ।
হরেক মোড়ে চোলাই পাবে ,
দু-বোতলে একটা ফ্রী মিলবে ।
তোমরা যখন বাইরে যাবে,
ঘরের তালা খুলে যাবে ;
আমার লোকেরা সাফ্ কোরবে ।
এসব সার্ভিস একদম ফ্রীতে পাবে।
ঘরে যদি সুন্দরী মেয়ে থাকে ,
সন্ধ্যার পর তারা যেন –
বাড়িতে বসে টিভি-ভিডিও দ্যাখে ।
রাতেরবেলা  বাইরে বেরোলে ,
মেয়ের চরিত্রদোষ হবে ;
সেটা বাঁচাতে আমার ভায়েরা,
ঈজ্জত লুটে ,আবরু বাঁচিয়ে দেবে ।
এসব সার্ভিস একেবারে ফ্রী পাবে ।
শুধু মনে রেখো ,
ভোটের বাক্সে আমাকেই ছাপ দেবে ;
না হোলে কিন্তু অনেক দুখঃ পাবে ।
এসব সার্ভিস একেবারে ফ্রী পাবে
(ফাটাফাটি করতালি )


গবুমন্ত্রি বলেন অবশেষে ;
বেশ বেশ ,আমার ভাষণ শেষ ,
বেঁচে থাক তোমাদের এই দেশ ।
আমার কাছে ফ্রী সার্ভিসের ,নেইকো কোন শেষ ;
বেশ বেশ , বেঁচে থাক তোমাদের এই দেশ ।।
                                                                          --অকবি