রাস্তার দুধারে ধূ ধূ রোদে তৃষ্ণার্ত প্রকৃতি,
সারি দিয়ে পলাশ গাছেরা -
রক্ত ঝরিয়ে রক্তাক্ত লাল ।
কোথাও আবার প্রকৃতি উদাসীন গৈরিক ।
কাল পাথরের পাহাড় ঘিরে ,
ফাগুন পূজোর উৎসবে –
শিমূল পলাশের রক্ত দিয়ে ,
ফাগুন খেলে রক্ত হোলি ;
বিরহী প্রেমিক , মিলন আশায় ,
সাজায় প্রেমের বরণ ডালি ।
পলাশবনের চৈতি হাওয়ায় ,
মনটা যে হয় উদাস বাউল ;
উষ্ণ অনুরাগের খোঁজে ,
বেপরোয়া চিত্ত ব্যাকুল ।


কাল পাহাড় ,গেরুয়া মাটি ,
উড়িয়ে ধূলো শূন্য মাঠে -
চৈতি হাওয়ার হুটোপুটি ।
পাগল ফাগুন চতুর্দিকে ,
নানারঙের ফাঁদ পাতে ।
রক্ত-রাঙ্গা শিমূল পলাশ,
মনটাকে যে মাতিয়ে তোলে ।
ফাগুনের ঐ অগ্নিশিখা ,
মন মানে না নিয়ম-রেখা ;
পলাশবনে ফাগের খেলা ,
আউল –বাউল ভাবের মেলা ।
পলাশ – রঙে রাঙ্গা হোয়ে,
চৈতি হাওয়ায় বসন্ত্ বাহার ;
প্রিয়ার আকুল আমন্ত্রণে
পলাশবনে ফাগের বাহার ।
পলাশবনের চৈতি হাওয়ায় ,
মনটা যে হয় উদাস বাউল ।।


( এক ফাগুনে ঝাড়খন্ডের দুমকা অঞ্চলে
ভ্রমনের সময়ে প্রকৃতির রূপে পাগল হো’য়ে
লেখা এই বর্ণনা । যাঁরা দেখেছেন তাঁরা জানেন –
সেই মাতাল করা রূপ – অকবি )