আকাশে মেঘ জমেছে ,
বৃষ্টির আলাপ চলছে ,মৃদু-মন্দ তালে ;
সামনে আকাশী ছাতার নিচে নীল শাড়ি –
মনে মনে ডাকি নীলা ,
দ্রুতলয়ে চলেছে তাড়াতাড়ি ;
দীর্ঘ-বেণী পিঠের পরে দুলছে লুটোপুটি ।
পিছনথেকে  মনে হয় অপরূপা সুন্দরী ,
ইচ্ছা করে কল্পনার নীলার সাথে, একটু ভাব করি ;
কিন্তু কেমন করে ভাব করি ?
যদি রেগে করে দেয় আড়ি !
আমি ছটফটিয়ে মরি , কিভাবে ভাব করি ?
বৃষ্টিতে ভিজে লতপত্ ,মনটা মেঘমেদূর ;
নীলা একদম সামনে , একটু দূর ।
হঠাৎ একটা সাইড-লুক , ছোট্ট দুষ্টু হাসির ঈশারা  ;
আমার সবকিছু হ’ল বানভাসি –
যেন নীলাকে আমি, আবহমান  ভালবাসি !


আমি প্রায় ছুটে নীলার পাশাপাশি ,
ওরপানে চেয়ে ধুকপুক ভিতু হাসি ;
নীলা মুখ ফিরে চকিতে ,
ওর কাজলটানা চোখ রাখে আমার চোখে  ।
আমার বুক-জুড়ে ভূমিকম্প ;
আরে ! এতো পারার ফ্রকপরা মেয়ে মেঘা ;
নীল শাড়ির মায়াজালে -
মেঘা এখন মায়াবিনী অপরূপা মেঘাঞ্জনা !
মেঘাঞ্জনা মিষ্টি কোরে ডাকে –ছাতার নীচে এসো ।
আমার মনে হ’ল ,
ওর চোখ বোললো –“আমায় কি তুমি ভালবাসো ?”
আমি  আকাশী ছাতার নীচে এলাম ;
মেঘাঞ্জনার পাশাপাশি চলতে চলতে ,
ভীরু কম্পিত লাজুক স্পর্শ পেলাম ,
বুকভরে বর্ষায় ভেজা জুঁইয়ের গন্ধ নিলাম ।
আকাশী ছাতার নীচে ,আমরা মুখোমুখি -
অঝোর বর্ষণের ঝর্ণাধারায়, পৃথিবী আনদেখি ।


আমরা দুজন চোখে চোখ রাখলাম ,
শব্দহীন ভাষার দুনিয়ায় মুখরিত হ’লাম ;
আকাশী ছাতার নীচে –
আমি মেঘাঞ্জনার সাথে নিঃশব্দে হারিয়ে গেলাম ,
স্বপ্ন-মুক্তোর খোঁজে সাগরে নিখোঁজ হ’লাম ।।
- অকবি-