আমার চুলে রূপোলী ছোঁয়া,
মুখে দু-চারটে নকল দাঁতের সাজ;
বয়স প্রায় অবসরের দুয়ারে আজ ।
তাও মেঘনাকে যখনি দেখি বাস-স্ট্যান্ডে,
কিংবা মেয়ে তুতুলের স্কুলের পথে ;
কেন এমন হয় ?!
মনে পড়ে সেই ভিক্টোরিয়া আর -
আউটরাম ঘাটের আনমনা বিকালগুলো ;
মাঝ-গঙ্গায় ভাসমান নৌকার ছইয়ের নীচে ,
আমাদের শরীরের অবাধ্য আবদারগুলো ।
একটা মশলাভরা ফুচকা , ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে –
ভাগ করে খাওয়া ,আর জিভ দিয়ে জিভের স্বাদ নেওয়া ।
কত কথা, কত স্বপ্ন ,কত অঙ্গীকার ;
শরীরে শরীর মিলিয়ে ,ভাগ করে নেওয়া ।


এখনতো আমি ডাক্তারবাবুর বাবা ,
মেঘনা হয়েছে তুতুল -ম্যাডামের মা ;
এখনো এমন কেন হয় ?!
মেঘনারও কি এমনটাই হয় ?
আজও নৌকার ছইয়ের নীচে ভাসতে ইচ্ছা হয় ?
জানি মেঘনার সাথে, ভিক্টোরিয়া বা নৌকার ছাউনির নীচে;
আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় ।
শরীরের বেআইনি আবদারগুলো -
শিথিল মাংসপেশিতে ,আর তুলবেনা বেহাগের ঝংকার ।
তবুও একবার যদি ফেরা যেতো মেঘনার সাথে ;
মাঝ-গঙ্গায় নৌকার ছাউনির নীচে ,
অথবা  রোস্তোঁরার ছোট পর্দা-ঘেরা খোপে ,
ফুচকা ভাগ করে খেতাম একই শালপাতা থেকে ।
ভাগ করে নিতাম পাওয়া না-পাওয়ার কথকতা একসাথে ;
যদি একবার ফেরা যেতো , মাঝ-গঙ্গায় নৌকার ছইয়ের নীচে ।।
- অকবি -