আবার ওরা আমার ইজ্জৎ লুটল ,
আরেকবার ওরা আমার ভাইকে খুন করলো ;
কামদুনি, খাড়জুনা , বারাসাতের পরে আবার কাটোয়া –
আমার ইজ্জৎ লুটল, আমার ভাই খুন হ’ল ।
মন্ত্রী- সান্ত্রীর আনাগোনায় , পথের ধূলো উড়ে –
আমার ও পড়শিদের ঘরগুলোই নোংরা করলো ।
আমার আত্মার গভীর ক্ষত কি একটুকুও ভরল ?!
খুনিরা কি ধরা পড়ল ?


আরও কিছুদিন কাটলো ,
আমার আরও কিছু ভাই-বোন ওদের হাতে খুন হ’ল ;
ওরা আমাদের ,নোংরা মেয়ে ,মিথ্যাবাদী –
আরও অনেক কিছু বলল ।
আমার ব্যথা, আমার কান্না – কেউ কি একটু বুঝল ?
কঠিন কানুনী শব্দের চাপে –
আমার যৌনাঙ্গ, ব্যথায় আর্তনাদ করে ।
সেই ঘৃণ্য পশু কামচারীদের মৃত্যু কামনা করে -রাত্রিদিন ,
অনেক মিছিলে হাঁটলাম ,অনেক মোমবাতি পোড়ালাম ।
যখনই চীৎকার করে – জলদি বিচার চাইলাম ;
কারা আমার নগ্ন ধর্ষিত শরীরে ,
এক টুকরো ছেঁড়া গামছা ঢাকা দিয়ে বলে –
আইন তো আইনের পথেই চলে !
কচ্ছপটা নিশ্চিত একদিন দৌড়ের বাজী জিতবে ;
কোন একদিন তোমার আর্জি ,সঠিক বিচার পা’বে ।


কিন্তু ততদিনে ,
আরও কত মেয়ে –বউ নোংরা মেয়ে  হয়ে মরবে ?
নয়তো ক্ষত-বিক্ষত যোনির ব্যথা বুকে নিয়ে ,দয়ার ভিক্ষা চাইবে ;
সরকারি ফাইল আর আইনের গোলকধাঁধাঁয় ,মৃত্যুদণ্ডে ভুগবে ।
নারী –দেহের টনিক খেয়ে , খুনি পশুগুলো বুক ফুলিয়ে ঘুরবে ;
কচ্ছপটা দৌড়ে নিশ্চিত একদিন জিতবে ,
ততদিনে আমার কঙ্কালটা সিলিং থেকে ঝুলবে ।
আমাদের আইন তো আইনের পথেই চলবে –
বলতে পারো ,ঐ নরপশুগুলো কবে ফাঁসিকাঠে ঝুলবে ??
                                          -অকবি -