(এই কবিতাটি কিঞ্চিৎ ঢ্যাঙ্গা , তাই এটার প্রথম অংশ এখানে পোস্ট কোরলাম ; ২য় পার্ট কয়েকদিন পরে )


আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটা ,
যেটা দিনে চলন্ত , রাতে ঘুমন্ত ;যেন গান্ধীজীর তিন বান্দর –
ভাজা মাছটা উলটে খেতে জানে না !
ওটা সময় পেলেই ,
খেজুর করে ,আমায় পাড়ার কেচ্ছা শোনায় অবিরত ;
রাস্তার বয়ানে ,শোন তবে দু-চারটি বৃত্তান্ত ।


ভোর-সকাল:
আধো আধো আলো ফোটার সময়ে ,
যখন কুকুরগুলো সারারাত জেগে ঘুমোতে যায় ;
একটা ছোট মেয়ে আধ-ফাটা ফ্রক গায়ে ,
প্রথম আমায় স্পর্শ করে , দুটো কচি নরম পায়ে ;
কুমু, বোস-বাড়িতে কাজে যায়-
সদ্য ঘুম-ভাঙ্গা ভীরু চোখে এদিক –ওদিক চায় ।
ওর বাড়িতে মা-ভাইয়েরা আধা-পেটা খায় ,
কুমু তবু বোস-বাড়িতে পেটভরা খাবার পায় ;
বাড়ির মেয়েদের ফেলে দেওয়া জামাকাপড় পায় ,
সারাদিন কাজ সেরে , রাতে ঘুমন্ত-চোখে ঘরে ফিরে যায় ।
ও ঘরে ফিরলে , ওর ছোট ভাইটা কিছু খেতে পায় ,
তাই কুমু প্রতিদিন বোধোদয় থেকে বোধাস্ত পর্যন্ত ;
কচি শরীর ও মনটাকে বন্ধক রাখে , বাঁচার দায়ে ।


দুপুর-অপরাণ্হ :
দোকান-পাট প্রায় বন্ধ , ভুলুর চায়ের দোকানের আড্ডা নিস্তব্ধ ;
নেড়ি কুকুরগুলো নর্দমায় গা ডুবিয়ে এসির সুখে মস্ত্ ।
বুড়ো ভিখারি ভিখুরাম আর ওর লিভ-ইন সঙ্গিনী চম্পা ;
লালবাড়িটার গ্যারেজের পাশে,
এখান-ওখান থেকে কুড়িয়ে আনা খাবারের থালি সাজিয়ে ,
দুপুরের লাঞ্চ সারে ; সাথে একটু-আধটু প্রেমালাপও করে ।
কোনদিন যদি মহল্লায় কোন ভোজের খবর থাকে –
দুজনের তোবড়ানো শরীর,
রাতের উৎসবের স্বপ্ন বুকে নিয়ে ,উষ্ণ আলিঙ্গনে মেশে।
                                           - অকবি -