আমার শেষ যাত্রার পথে সেদিন ,
এক বস্ত্রে রওনা হ’তে হবে ।
ঐ শেষ বস্ত্রটিও ,শ্মশানবন্ধুর কাছে জমা দিয়ে ;
চিতার ধোঁয়ায় ভেসে নির্বস্ত্র হ’য়ে –
পৌঁছে যাবো সেই শেষ যাত্রার দেশে ।
ফেলে যাওয়া বিবর্ণ স্মৃতিগুলো –
পড়ে থাকবে চিতার আশেপাশে ,ছাই-ভস্ম হ’য়ে ।
বিগত জীবনের দু-চার টুকরো জ্বলা-পোড়া ভস্ম-কণিকা ,
হাওয়ায় ভেসে পিছু নেবে কিছু দূর ।
তারপর উড়ে যাবে , অন্য কোথা অন্য কোন-খানে ;
ওরা পৌঁছুতে পারেনা অজানা সেই দেশে ।
*আমার পড়ে থাকা নাভি-অস্থি, নদী-গর্ভে বিসর্জিত হবে;
শরীরের ঐ অবশেষটুকু , হয় মৎস্য-খাদ্য হবে ,
নতুবা পলি-স্তরে প্রোথিত রবে জীবাশ্ম হোয়ে ।
আমার স্মৃতির কিছু টুকরো ,হয়তো রয়ে যাবে ;
তোমাদের মনের অন্ধকার কোণে -
পরিত্যক্ত ছেঁড়া চপ্পলের মত ।*


পাওয়া –না পাওয়া , স্বপ্ন ও কবিতা –
হিসাবের খাতা , পরিচয় পত্র ;
সব রয়ে যাবে অবশিষ্ট চিতা-ভস্মের সাথে ।
নির্বস্ত্র ,বস্তুহীন একেলা ,ভেসে যাবো –
সেই অজানা মৃত্যুহীন শেষ যাত্রার দেশে ।।
- অকবি -
( **১৯শে সেপ্টেম্বর ,২০১৩ তারিখে কিছু অংশ সংযোজন করা হয়েছে )